Blog description

Tuesday 3 May 2011

OSI Model সম্পর্কে আলোচনা।

OSI Model কি?

নেটওয়ার্কিং  এ একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ হচ্ছে ওএসআই মডেল। OSI হচ্ছে Open System Interconnection এর সংক্ষিপ্ত রূপ।১৯৭৪ সালে ISO (International System Of Organization) কতৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।মুলত কম্পিউটার ও অন্যান্য নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সমুহের মধ্যে কিভাবে যোগাযোগ গড়ে উঠে সেটাই নির্দেশ করে এই  OSI Model।এটি একটি লজিক্যাল মডেল কিন্তু পিজিক্যাল মডেল না। এই মডেল এ সাতটি লেয়ার থাকে।উপরের তিনটিকে বলে আপার লেয়ার। নিচের চারটিকে বলে লোয়ার লেয়ার।


নিচের ছবিটির দিকে তাকান।এখানে লেয়ার গুলোর ভাগ দেওয়া আছে।


osi-model-7-layers


ছবিটির দিকে ভাল করে লক্ষ্য করুন। দেখুন উপরের চারটি লেয়ার কে বলে "হোস্ট লেয়ার" আর নিচের তিনটিকে বলে "মিডিয়া লেয়ার"OSI Modelএ সবচেয়ে নিচের লেয়ারটিকে বলে Physical Layer এবং PDU হিসেবে আছে BitsPDU হচ্ছে Protocol Data Unit এর সংক্ষিপ্ত রূপ।এই লেয়ার এ মিডিয়া, সিগনাল, বাইনারি ট্রান্সমিশন ইত্যাদি ধরনের কাজ হয়ে থাকে। একই ভাবে সবচেয়ে উপরের ধাপটিকে বলে Application Layer এবং PDU হিসেবে আছে Data।এই লেয়ার এ নেটওয়ার্ক প্রসেসিং এর কাজ হয়ে থাকে।


আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য নিচের ছবিটির দিকে ভাল করে লক্ষ্য করুন


চিত্রঃ ডাটা ট্রান্সমিশন

Monday 2 May 2011

জেনে নিন নেটওয়্যার্কিং এর খুটিনাটি (২য় পর্ব)।

আজকে আলোচনা করব কাজের ভিত্তিতে নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন অংশ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কঃ

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ প্রত্যেকটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হাব বা সুইচ এর সাথে সংযুক্ত থাকে।এখানে কোন সার্ভার থাকে না।প্রত্যেকটি কম্পিউটার একটি হাব এর সাথে যুক্ত থাকে।কেন্দ্রীয়ভাবে কেউ কাউকে নিয়ন্ত্রন করে না।এটি ইনস্টল করা এবং নিয়ন্ত্রন করা অনেক সোজা।মুলত ইউজাররা তাদের হার্ডডিস্ক স্পেস, প্রিন্টার ইত্যাদি শেয়ার করে এই নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে।এই নেটওয়ার্কে ইউজার সংখ্যা ১০ বা তার চেয়ে কম।


 Peer_to_peer_networkচিত্রঃপিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কিং


ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কঃ

এই নেটওয়ার্ক এ কেন্দ্রীয়ভাবে একটা সার্ভার থাকে।এর ইউজার থাকে অসংখ্য।ইউজার যতই হোক না কেন কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে ইউজারদেরকে নিয়ন্ত্রন করা হয়।সমস্ত ধরনের তথ্য সার্ভারে স্টোর করা থাকে।ইউজাররা সেখান থেকে সেবা নিয়ে থাকে।এই ধরনের নেটওয়ার্কে অনেক ধরনের সেবা দেওয়া হয় যেমনঃ ইমেইল,ওয়েব সাইট ম্যানেজনেন্ট,ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।এটি সেট আপ করতে অনেক খরচ লাগে।


Client_server_network

Sunday 24 April 2011

জেনে নিন নেটওয়্যার্কিং এর খুটিনাটি।

             নেটওয়্যার্কিং নিয়ে অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু লেখালেখি করব,কিন্তু সময় হয়ে উঠে না।অবশেষে আজকে থেকে নেটওয়্যার্কিং নিয়ে ধারাবাহিক টিউন শুরু করে দিলাম।নেটওয়্যার্কিং আমার খুব পছন্দের একটা সাবজেক্ট।প্রথম যখন বাসায় ব্রডব্যান্ড নেই তখন আমি নেটওয়্যার্কিং এর ক ও জানতাম না।সামান্য আইপি বসাতে পারতাম না।খুব মেজাজ খারাপ হত।পরবর্তিতে নেটওয়্যার্কিং এর প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো জানতে গুগলে ঘাটাঘাটি শুরু করে দিলাম।তাই আমি কয়েকটি পোস্টের দ্বারা নতুন দের জানাতে চেস্টা করব।


নেটওয়্যার্কিং কি? 


সহজ ভাষায়, কতগুলো কম্পিউটার যখন তথ্য আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে সংযুক্ত থাকে তাকেই বলা হয় নেটওয়্যার্কিং।


নিচের ছবিটির দিকে ভালকরে তাকান।


কম্পঊটার নেটওয়্যার্কিং                                                 চিত্রঃ কম্পিওউটার নেটওয়্যার্কিং


চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত। এটি একটি অফিস কম্পিউটার নেটওয়্যার্কিং এর চিত্র।


নেটওয়্যার্কিং এর প্রকারভেদঃ


কম্পিউটার নেটওয়্যার্কিং অনেক ভাবে বিভক্











এরিয়া ভিত্তিতে নেটওয়্যার্কিং তিন রকমঃ


১.লেন(LAN)


২.ম্যান(MAN)


৩.ওয়ান(WAN)




কাজের উপর ভিত্তি করে তিন রকমঃ


১.পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক


(PEER TO PEER NETWORK)


২.ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়্যার্ক


(CLIENT SERVER NETWORK)


৩. হাইব্রিড নেটওয়্যার্ক


(HYBRID NETWORK)



LAN কি?

                    LAN হচ্ছে Local Area Connection এর সংক্ষিপ্ত রূপ।একটি নির্দিষ্ট এলাকা যেমন বাড়ী,স্কুল,অফিস এর মধ্যকার কম্পিউটার গুলোর মধ্যে নেটওয়্যার্কিং এর জন্য LAN করা হয়।এটা তুলনামুলক ভাবে একটা ছোট এলাকার মধ্যে অনেক দ্রুত ডাটা আদান প্রদান করতে পারে।


Local Area Connection Imageচিত্রঃ LAN (লোকাল এরিয়া কানেকশান)


পুর্বে ARCNET ও TOKEN RING এই দুই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হত। কিন্তু বর্তমানে ইথারনেট(Ethernet) এবং ওয়াইফাই(Wi-Fi) এই দুই প্রযুক্তি সর্বাধিক জনপ্রিয়।


MAN কি?


             Metropolitan Area Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে MAN। একটি শহরে অথবা একটি বড় এলাকায় নেটওয়্যার্কিং এর ক্ষেত্রে MAN ব্যবহৃত হয়।মুলত উচ্চ প্রযুক্তি যেমন ফাইবার অপ্টিক লিঙ্ক সংযুক্ত কতকগুলো LAN এর সমন্বয়ে MAN গঠিত।


Metropolitan area networkচিত্রঃ MAN


WAN কি?

             Wide Area Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে WAN। LAN ও MAN যেখানে একটি নির্দিষ্ট এলাকাতে সীমাবদ্ধ WAN সেখানে তুলনামুলকভাবে অনেক বড় এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। কয়েকটি বড় বড় শহরের মধ্যে অথবা একটি সমগ্র দেশকে নেটওয়ার্কিং এর আওতায় আনতে WAN করতে হয়।







Friday 22 April 2011

নতুন ডোমেইন নিতে চান?জেনে নিন চোট্ট একটি টুলস এর সাহায্যে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি আগে কেউ নিয়েছে কিনা।

ঘটনাটি ৮ মাস আগের। আমার পরিচিত একজন ভদ্র লোক নতুন একটি সাইট বানাতে চান। তো উনি পছন্দ করে ১০ নাম নিয়ে আসলেন আমার কাছে। আমি জানতে চাইলাম ১০ নাম আগে কেউ নিয়েছে কিনা?

উনি বললেন না নেয়নি। আমি বললাম  কি করে জানলেন?উনার সরল উত্তর GOOGLE  এ সার্চ দিয়ে দেখেছেন।পরবর্তিতে আমি দেখলাম প্রত্যেকটি ডোমেইন আগেই নেওয়া হয়ে গেছে।

গুগলে যদি কোন সাইট কে এড করা না হয় তাহলে সেই সাইট কখনো দেখাবে না। এটা হয়ত নতুনরা জানেন না। আসলে যারা নতুন সাইট বানাতে চান তারা জানেন না তার পছন্দের ডোমেইন available কিনা জানার উপায়। ব্যাপারটা খুব সোজা। প্রত্যেকটি হোস্টিং কোম্পানির সাইটে whois lookup অপশন থাকে। যার দ্বারা খুব সহজে জানা যায়। আরেকটি ছোট্ট টুলস আছে যার দ্বারা খুব সহজে জানা যেকোন ডোমেইন এর পুরো বর্ণনা।

http://www.domaintools.com/

উবুন্তুতে আইপি অথবা ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন করবেন কিভাবে?

অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের জয়জয়কার সর্বত্রই।দিনে দিনে এর ব্যবহারকারি যেন বেড়েই চলেছে।লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন গুলোর মধ্যে উবুন্তু সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

আজ দেখাব কিভাবে কমান্ডের মাধ্যমে আইপি অথবা ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন করতে হয় তার ধাপসমুহঃ

আমার এ পোস্টটি উবুন্তু ৯.০৪ ভার্সনের উপর ভিত্তি করে করা।

আইপি পরিবর্তনঃ

১. প্রথমে Terminal এ যেতে হবে।

এজন্যApplication এ প্রথমে ক্লিক করে সেখান থেকে Terminal এ যেতে হবে।


২.আইপি এড্রেস সেট করতে প্রথমে টাইপ করতে হবে sudo ifconfig eth0 xxx.xxx.xxx.xxx এরপর এন্টার চাপতে হবে।

এখানে উদাহরন হিসেবে আইপি ১.২.৩.৪ ধরা হয়েছে।


৩.পরিবর্তিত আইপি দেখতে হলে terminal আবার টাইপ করতে হবে ifconfig ।এরপর enter চাপতে হবে। ফলে খুব সহজেই পরিবর্তিত আইপি দেখা যাবে।



ম্যাক এড্রেস পরিবর্তনঃ

১.ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন এর আগে বর্তমান ম্যাক এড্রেস দেখে নিতে হবে। এজন্য আবার Teeminal এ গিয়ে ifconfig লিখে Enter চাপতে হবে।

ফলে আমরা নিম্নুরূপ একটা উইন্ডো পাব। সেখান থেকে বর্তমান ম্যাক এড্রেস জেনে নিব।

How_to_Change_IP_or_MAC_Address_in_Linux-5




২. এই ধাপে ইন্টারনেট কানেকশান কে টেম্পরারি ডিসেবল করে নিতে হবে। ইন্টারনেট কানেকশান ডিসেবল করতে নিচের কমান্ড টি লিখতে হবে

sudo ifconfig eth0 down

How_to_Change_IP_or_MAC_Address_in_Linux-4

৩. এখন নিচের কমান্ডটির দ্বারা আমরা নতুন ম্যাক এড্রেস সেট করব।

sudo ifconfig eth0 hw ether xx:xx:x:xx:xx:xx

এখানে উদাহরন হিসেবে আমরা ম্যাক এড্রেস 00:01:23:fe:c6:34ব্যবহার  করেছি।
540px-How_to_Change_IP_or_MAC_Address_in_Linux-6




৪. এই ধাপে পুনরায় আবার নেট কানেকশান এনাবল করতে হবে। এজন্য নিচের কমান্ডটি লিখতে হবে

sudo ifconfig eth0 up

ow_to_Change_IP_or_MAC_Address_in_Linux-7

পুনরায় ifconfig কমান্ড লিখে enter চাপলে দেখা যাবে নতুন ম্যাক এড্রেস চালু হয়েছে।

How_to_Change_IP_or_MAC_Address_in_Linux-8

Wednesday 6 April 2011

বাড়িয়ে নিন আপনার ব্রাউজারের গতি। ব্লগিং করুন মনের আনন্দে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন না এমন লোক খুব কম।
অনেকের মত মজিলা ফায়ারফক্স আমার একটি পছন্দের ব্রাউজার। আমার এই পোস্টটি মুলত ব্রডব্যান্ড ও মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারিদের উদ্দেশ্যে।
অনেকেই হয়ত জেনে থাকতে পারেন অথবা এই ধরনের পোস্ট আগেও হয়ে থাকতে পারে। তবুও এটি যারা জানেন না তাদের জন্য।
এই ট্রিক্স এর মাধ্যমে স্পীড কয়েকগুন বাড়ানো যায়।


মুলত ব্রাউজারের কনফিগারেশন এর পাইপলাইনিং পরিবর্তন করে আমরা স্পীড বাড়াতে পারি।
ব্রাউজার যে কোন ওয়েব পেজ এর রিকোয়েস্ট একবার বানায়।
কিন্তু যদি আমরা পাইপলাইনিং এনাবল করি তবে অনেকগুলো রিকোয়েস্ট বানিয়ে স্প্রীড বাড়িয়ে দেয়।

ধাপসমুহ নিম্নরূপঃ
১। প্রথমে address bar এ "about:config" লিখে enter চাপতে হবে।
২।scroll bar টেনে নিচের entries গুলো চেক করতে হবে।
network.http.pipelining,
network.http.proxy.pipelining,
network.http.pipeling.maxrequests.
৩।entries গুলো চেক করার পর network.http.pipelining,
network.http.proxy.pipelining,এর উপর ডাবল ক্লিক করে true type হিসেবে value সেট করতে হবে।
৪।এরপর network.http.pipeling.maxrequests এ ক্লিক করে value ৩০ করে দিতে হবে।
৫। সর্বশেষ যে কোন জায়গায় right button ক্লিক করে new>integer সিলেক্ট করে "nglayout.initialpaint.delay"
লিখতে হবে এবং তার value ০ সেট করে দিতে হবে।
এরপর পিসি রিস্টার্ট দিন ব্যস বেড়ে গেল আপনার ব্রাউজিং স্প্রীড

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More